রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস হলো কোরআনের তেলাওয়াতের মাধ্যমে যাচাই করা, রোগী জাদু, বদনজর বা জ্বিনের প্রভাবে আক্রান্ত কিনা। এটি আন্দাজে নয়, বরং রোগীর লক্ষণ, প্রতিক্রিয়া ও কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়।
- সমস্যাটি আত্মিক না চিকিৎসাজনিত তা বুঝতে।
- অকারণ ভয় বা বিভ্রান্তি দূর করতে।
- রোগী জাদু, বদনজর বা জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হতে।
- সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে সুন্নাহ অনুযায়ী।
কিভাবে রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস করা হয়?
- রাকী রোগীর সামনে বসে কোরআনের নির্দিষ্ট আয়াত যেমন আয়াতুল কুরসি, সূরা ফাতিহা, সূরা বাকারা, এবং শেষ তিন সূরা (মুআওয়িযাত) তেলাওয়াত করেন।
- তেলাওয়াতের সময় রোগীর শারীরিক ও মানসিক প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হয় (যেমন হঠাৎ মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, হাই ওঠা, ভয় পাওয়া, কান্না, অস্থিরতা ইত্যাদি)।
- এই প্রতিক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় সমস্যাটি আত্মিক কারণে নাকি শারীরিক কারণে হয়েছে।
- ডায়াগনোসিস সবসময় শান্তভাবে, প্রফেশনাল ও সুন্নাহভিত্তিক পদ্ধতিতে করা হয়।
রুকইয়াহ ডায়াগনোসিসের জন্য আমাদের কেন্দ্র কেন বেছে নেবেন?
- আমরা শুধুমাত্র কোরআন ও সহীহ সুন্নাহ অনুসরণ করি — কোনো শিরক নেই, কোনো নতুনত্ব নেই
- আমাদের অভিজ্ঞ রাকি রুকইয়া ডায়াগনসিসের সঠিক পদ্ধতিতে প্রশিক্ষিত।
- রোগীদের জন্য আমরা দিই আত্মিক, মানসিক ও নৈতিক সাপোর্ট।
- ইতিমধ্যে ১০,০০০+ মানুষ আমাদের সেবার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন।
- নির্ভুল আত্মিক মূল্যায়নের জন্য নিরাপদ, পেশাদার এবং সুন্নাহ-ভিত্তিক পরিবেশ।
"আমরা কুরআনে যা অবতীর্ণ করেছি তা বিশ্বাসীদের জন্য চিকিৎসা ও রহমত।" (কুরআন ১৭:৮২)
পবিত্র কুরআন
রুকইয়া ডায়াগনসিস হলো একটি আত্মিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া, যেখানে অভিজ্ঞ প্র্যাকটিশনাররা কোরআনের দিকনির্দেশনা ও প্রামাণিক সুন্নাহ অনুসরণ করে ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক অবস্থা মূল্যায়ন করেন। এটি নেতিবাচক আত্মিক প্রভাব যেমন ঈর্ষা, বদনজর বা জিন্ন সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এর লক্ষ্য হলো নিরাপদ, কার্যকর এবং সুন্নাহ-ভিত্তিক একটি পরিকল্পনা প্রদান করা, যা আত্মিক আরোগ্য, মানসিক স্থিতিশীলতা এবং সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করে।